bengali story (ছোট গল্প)

গুপ্তধনের অভিশাপ

রাত তখন প্রায় দুটো। নিস্তব্ধ জঙ্গলের মধ্যে একটা টর্চের আলো কখনো জ্বলছে, কখনো নিভে যাচ্ছে। জয়ন্ত, অর্ক আর মেঘা নিঃশব্দে হাঁটছে এক পুরনো, ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরের দিকে। তাদের হাতের মানচিত্র বলছে—এখানেই লুকিয়ে আছে শতাব্দী পুরোনো গুপ্তধন। “ সাবধানে! জায়গাটা ভয়ানক… শুনেছি, কেউ এখানে আসলে আর ফিরে যায় না,” ফিসফিস করে বলল মেঘা। ভুত-টুত কিছু নেই! সব বাজে কথা,” বলল অর্ক, যদিও তার কণ্ঠে ভয় টের পাওয়া যাচ্ছিল। জয়ন্ত মানচিত্রের দিকটা ভালো করে দেখে বলল, “আমাদের ঠিক মন্দিরের মূল চত্বরে যেতে হবে, সেখানেই একটা গুপ্ত দরজা আছে।” তারা তিনজন এগিয়ে গেল। চারপাশে শুধু পেঁচার ড…

রহস্যময় প্যাকেট

রাজু প্রতিদিনের মতো স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। আজ রাস্তার ধারে এক অদ্ভুত জিনিস দেখল—একটি কালো রঙের ছোট প্যাকেট। কৌতূহল চাপতে না পেরে সে সেটি হাতে তুলল। প্যাকেটটি বেশ ভারী ছিল, যেন ভেতরে কিছু আছে। চারপাশে তাকিয়ে দেখল, কেউ নেই। রাজু ভাবল, "এটা কি কারও পড়ে গেছে?" একটু দ্বিধা নিয়েই সে প্যাকেটটা খুলল। ভেতরে একটা ছোট্ট চিরকুট— "যদি তুমি সৎ হও, তবে প্যাকেটটি পুলিশের কাছে দাও।" রাজু অবাক হয়ে গেল! ভেতরে কিছু টাকা আর কয়েকটি কাগজপত্র। সে বুঝতে পারল, এটা কোনো গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হতে পারে। সে আর দেরি করল না। দৌড়ে গিয়ে স্থানীয় থানায় প্য…

টিফিনের রহস্য

রিয়া প্রতিদিন স্কুলে নিজের টিফিন নিয়ে আসে—মায়ের বানানো সুস্বাদু পরোটা, সবজি আর ছোট্ট একটা চকোলেট। কিন্তু কদিন ধরে একটা আশ্চর্য ঘটনা ঘটছে। যখনই সে টিফিন খুলে খেতে বসে, দেখে তার খাবারের মধ্যে একটা বাড়তি চকোলেট রাখা! প্রথম দিন ভেবেছিল মা হয়তো বেশি দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু পরের দিনও? এবং তার পরের দিনও? বন্ধুদের জিজ্ঞেস করল, কেউ কিছু জানে না। শেষমেশ একদিন সে ঠিক করল, টিফিনবক্স রেখে ক্লাসরুমের এক কোণে লুকিয়ে দেখবে, আসলে কে এটা করছে। দুপুরের বিরতির সময় সে লুকিয়ে দেখল, একজন ছেলেটা ধীরে ধীরে তার ব্যাগের কাছে এল, চকোলেটটা টিফিনবক্সে রেখে আবার চুপচাপ চলে গেল। …

চিঠির অপেক্ষা

রাতুল প্রতিদিন বিকেলে বারান্দার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে থাকে, চোখ চলে যায় রাস্তার মোড়ে। ডাকপিয়ন কখন আসে, কখন একটা চিঠি তার হাতে তুলে দেয়—সেই অপেক্ষা। কিন্তু কিসের জন্য এই চিঠির অপেক্ষা? সবাই জানে, রাতুলের খুব প্রিয় বন্ধু ছিল নীলা। স্কুলজীবন থেকেই তাদের বন্ধুত্ব, তারপর ধীরে ধীরে যেন আরও গভীর হলো। কিন্তু একদিন নীলা হুট করেই শহর ছেড়ে চলে গেল। যাওয়ার সময় সে শুধু বলেছিল, "আমি চিঠি লিখব!" সেই থেকে রাতুলের প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গেছে ডাকপিয়নের অপেক্ষা করা। কিন্তু সময় কেটে যাচ্ছে, দিন-মাস-বছর পেরিয়ে গেল, চিঠি এলো না। একদিন বিকেলে হঠাৎ করেই বৃষ্টি এলো, ঠিক…