রাত গভীর, চারপাশে কেবল ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক। নির্জন গ্রাম কৃষ্ণপুর, যেখানে সন্ধ্যার পর কেউ ঘর থেকে বের হয় না। গ্রামের বয়স্করা বলেন,
এখানে এক ভয়ঙ্কর ড্রাকুলার অভিশাপ রয়েছে!
“ভূত-প্রেত, ড্রাকুলা এসব কিছুই হয় না! আমি প্রমাণ করব।”
রহস্যময় সন্ধ্যা
সেদিন রাতেই, চাঁদের আলোয় অরিন্দম গভীর বনের দিকে হাঁটতে থাকে। হঠাৎ সে অনুভব করে, কেউ তার পেছনে হাঁটছে। পেছনে তাকাতেই, এক বিশাল ছায়ামূর্তি তার সামনে! লাল চোখ, ধারালো দাঁত, কালো লম্বা পোশাক— ভয়ঙ্কর ড্রাকুলা!
ড্রাকুলা ফিসফিস করে বলে—
“তুমি আমার রাজ্যে প্রবেশ করেছ… এখন আর ফেরা যাবে না!”
বাঁচার লড়াই
অরিন্দম দৌড়াতে শুরু করে, কিন্তু ড্রাকুলা মুহূর্তের মধ্যে তার সামনে এসে দাঁড়ায়! এক ঝটকায় তাকে মাটিতে ফেলে দেয়। তখনই অরিন্দমের গলায় ঝোলানো ত্রিশূলের লকেট জ্বলজ্বল করতে থাকে। ড্রাকুলা কেঁপে ওঠে, যেন ওটার সামনে সে অসহায়!
সুযোগ বুঝে অরিন্দম নিজের পকেট থেকে রুপার ছুরি বের করে ড্রাকুলার বুকে বসিয়ে দেয়। বিকট চিৎকার করে ড্রাকুলা ধোঁয়ায় পরিণত হয়…
সকালে গ্রামের সবাই অবাক হয়ে দেখে, অভিশাপ কেটে গেছে। অরিন্দম সত্যিই প্রমাণ করল, সাহস থাকলে ভয়কে জয় করা যায়!
শেষ প্রশ্ন:
কিন্তু… দূরে জঙ্গলের ছায়ায় আবার জ্বলজ্বল করছে দুটি লাল চোখ। তাহলে কি ড্রাকুলা সত্যিই শেষ হয়েছে? নাকি সে আবার ফিরবে?… 😱🦇
🔥 (শেষ... নাকি এটা কেবল শুরু?) 🔥
0 মন্তব্যসমূহ