পিকনিকে ঝামেলার ঝাঁপি!”


 নতুন বছরের শুরু, স্কুলের পিকনিক ঠিক হয়েছে।

গন্তব্য: দূর্গাপুর বার্নপুর ইকো পার্ক
ছাত্রছাত্রীদের আনন্দ আর উত্তেজনায় বাসটা যেন উড়ে চলেছে!

গল্পের মূল চরিত্র চার বন্ধু — পিয়াল, মুন্না, চুমকি আর রাজু।
চারজনের চাররকম দুষ্টুমি। পিয়াল সবসময় প্ল্যান করে, মুন্না খালি খায়, চুমকি সবার ছবি তোলে, আর রাজু শুধু হাসে আর হাসায়।

🚌 বাসে হইচই

চিপস, চানাচুর, ঠান্ডা ড্রিংকস নিয়ে সবাই মেতে উঠেছে।
মুন্না বলছে, “ভাত খেতে আসি নাই, আমি শুধু খাইতে আসছি!”
চুমকি ক্যানডিড ছবি তুলছে, সবাই গম্ভীর মুখে বসে থাকার নাটক করছে, আর তারপর হঠাৎ হেসে গড়িয়ে পড়ছে।


🌳 পার্কে পৌঁছেই মজা শুরু

খেলাধুলা চলছে — দৌড় প্রতিযোগিতা, বল ছোড়া, অন্ধকারে চোখ বেঁধে “চোর-পুলিশ”।
রাজু চুপিচুপি ম্যাডামের ব্যাগে কঙ্কাল আকাঁ একটা ছবি রেখে দিল! ম্যাডাম দেখে এমন চিৎকার করলেন, সবাই দৌড়ে এল!
রাজু বলল, “ম্যাডাম, ভূতের পিকনিকে আপনি গেস্ট!” — পুরো পার্ক হেসে কাঁপছে।


🍱 খাওয়া দাওয়া আর গণ্ডগোল

ভাত, মুরগির কারি, চাটনি, পায়েস — একেবারে রাজকীয় ভোজ।
কিন্তু মুন্না খেতে খেতে বলল, “মুরগিটা একটু ঘোড়ার মতো লাগছে না?”
সাথে সাথে চুমকি বলল, “তুই যদি গাধা খাস, তখন কী বলবি?”
হাসতে হাসতে পিয়াল পুরো পায়েস মুন্নার গায়ে ফেলে দিল!
ফলে শুরু হলো “পায়েস যুদ্ধ”! পুরো চার বন্ধুর দল একে অপরকে ধুয়ে দিল খাবার দিয়ে!


📸 শেষে ক্লাসের ফটো, কিন্তু…

ফাইনাল গ্রুপ ফটো তোলার সময় পিয়াল হঠাৎ হাঁচি দিল—ফুটো নাক!
ম্যাডাম বললেন, “এই হচ্ছে তোমাদের স্মারক!”
ছবিটা উঠল, পেছনে পিয়ালের নাকের ঝাড়া-মুখ… সবার হেসে পাগল দশা!


শেষে…

বাসে ফেরার সময় সবাই ক্লান্ত, কিন্তু মুখে একটা বিশাল হাসি।
রাজু বলল, “এই পিকনিকের গল্প আমি নাতি-নাতনিকে শুনাবো!”
চুমকি বলল, “আগে বিয়ে কর রাজু দা!”
সবাই হেসে কুটিকুটি।


শেষ।

কেমন লাগল মজার পিকনিকের গল্পটা? চাইলে আমরা এই চার বন্ধুর আরও অ্যাডভেঞ্চার নিয়ে একটা ছোট সিরিজ বানাতে পারি! 😄

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ